শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের ইছাখালীতে পানিতে ডুবে ২ বছরের শিশুর মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন কিশোরকণ্ঠ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা-২০২৫ দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হয়েছিলো: ডাঃ এ জেড এম জাহিদ চট্টগ্রাম ১ মীরসরাই আসনে বিএনপি’র গ্রুপিংয়ের দ্বিধাবিভক্তি কাটেনি এখনো: নির্বাচনকালীন শংকা বিদ্যমান মীরসরাইতে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি প্রার্থী নুরুল আমিন চেয়ারম্যান এর সাক্ষাত: দলীয় সাংবাদিকরা বঞ্চিত! পাঁচ দফা মেনে নিন, না হলে ১১ নভেম্বর ঢাকার চিত্র ভিন্ন হবে: জামায়াত সেক্রেটারির হুঁশিয়ারি সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড,গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ’ চূড়ান্ত অনুমোদন মালদ্বীপের মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১১

শিশুর ঘন ঘন পেটব্যথা হলে করণীয়

আপনার শিশুসন্তানের ঘন ঘন জ্বর ও পেটব্যথা হতে পারে। এটা ভাইরাল সংক্রমণও হয়ে থাকতে পারে। কোনো কিছুই খেতে চায় না। জোর করে খাওয়ানো হয়। এ সমস্যা কমবেশি প্রতিটি  ঘরে হয়ে থাকে। এ নিয়ে মা-বাবার যেন দুশ্চিন্তার শেষ নেই। এ বিষয়ে কখনো অবহেলা করা ঠিক নয়। আপনার শিশুসন্তানের বেড়ে ওঠার যতে এগিয়ে আসুন। সুন্দর পরিবেশে গড়ে তুলন আপনার সন্তানকে। মৌসুম বদলের সময়ে তাপমাত্রার ওঠানামা হয়। এই সময়টায় শিশুরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। আজ জ্বর তো কাল পেটব্যথা। এ সমস্যা ছাড়াও শরীরে ক্লান্তি, বমিভাব ও খিদে নেই লেগে থাকেই। ডায়রিয়াও ভোগায় শিশুদের। নিত্যদিন একটা না একটা সমস্যা লেগেই থাকে। এ অবস্থায় কী করা উচিত তা জেনে রাখা জরুরি সব বাবা-মায়ের। এ বিষয়ে শিশু চিকিৎসক প্রিয়ঙ্কর পাল বলেছেন-নিছকই পেটগরম থেকে জ্বর নয়। ভাইরাল সংক্রমণও হয়ে থাকতে পারে অন্ত্রে। সংক্রমণ থেকেই ঘন ঘন জ্বর এবং পেটব্যথা হতে পারে। চিকিৎসকের ভাষায় একে বলে- ‘স্টমাক ফ্লু’। সে কারণেও পেটব্যথা হতে পারে আপনার শিশুসন্তানের। প্রিয়ঙ্কর পাল আরও বলেন, অন্ত্রে সংক্রমণ হলে তাকে ‘ভাইরাল গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস’ বলা হয়।

সহজ কথায়- পেটের ভেতর ভাইরাসের সংক্রমণ। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস বলে অনেকে গুলিয়ে ফেলেন, আসলে তা নয়। খাদ্যনালিতে অনেক ভালো ব্যাকটেরিয়াও থাকে, যারা খাবারের পরিপাকে সাহায্য করে। কিন্তু বাইরে থেকে কোনো সংক্রামক ভাইরাস সেখানে ঢুকে পড়লে তীব্র প্রদাহ শুরু হয়। খাবার ঠিকমতো হজম হয় না, পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। পেট খারাপ, বমি এবং তা থেকেই জ্বর চলে আসে। সেই জন্য খাওয়াদাওয়ায় অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে মা-বাবাকে। এদিকে হোটেল কিংবা রেস্তোরাঁয় গিয়ে বিরিয়ানি, রোল, চাউমিন, প্যাকেট প্যাকেট চিপস, লাল মাংস খাওয়ার অভ্যাস যদি শিশুর থাকে, তা হলেও তা পেপটিক আলসারের ঝুঁকি বাড়াবে। তাই শিশুকে ঘরে তৈরি খাবারই খাওয়াতে হবে। আর বাইরের পানি খেতে দেওয়া একদমই ঠিক নয়। কারণ বাইরে ঘুরতে গিয়ে রাস্তার শরবত, নরম পানীয় বা ফলের রস শিশুকে দেবেন না। এতে আপনার শিশুর জন্য এসব পানীয় আরও ভয়ঙ্কর ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। সে জন্য রাস্তার খাবার একেবারেই নয়। রাস্তায় বিক্রি হওয়া আইসক্রিম আর বরফের গোলা কখনই খাওয়াবেন না। আর ফল খাওয়ালে ভালো করে ধুয়ে তবেই শিশুদের খাওয়াবেন। সবচেয়ে ভালো- বাড়িতে ভাত, ডাল, কম তেলে রান্না মাছের ঝোল, চিকেন স্যুপ খাওয়াতে পারেন। আর পানি ফুটিয়ে খাওয়াতে পারলে আরও ভালো হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Like Our Page