মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ইসলামাবাদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ১২ ভোট হলে তোমাদের অস্তিত্ব থাকবে না, জামায়াতকে মির্জা ফখরুল মীরসরাইয়ের সোনা পাহাড় এলাকার একটি প্লাস্টিক কারখানায় আগুন: পুড়ে গেছে অর্ধ লক্ষাধিক টাকার মালামাল মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় ৬ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিল্লিতে বিস্ফোরণ: প্রথম টেস্ট ঘিরে কলকাতায় নিরাপত্তা জোরদার সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও সাড়ে তিন মাস বাড়ল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে ৩০তম দিনেও অনশনে শিক্ষকরা ১৩ নভেম্বর ঘিরে কঠোর অবস্থানের জন্য প্যাট্রোলিং বাড়ানো হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘সম্পর্কের টানে তিন প্রজন্মের ভালোবাসার গল্প’ চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে যুবদল নেতাকে হত্যা চেষ্টায় হামলা, মুমুর্ষাবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি

আজ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ বৃহস্পতিবার। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থানে ওই বছরের মধ্য আগস্ট থেকে চলা টালমাটাল পরিস্থিতির অবসান হয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ক্ষমতায় আসা খন্দকার মোশতাক সরকারকে উৎখাতে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে ৩ নভেম্বর পাল্টা অভ্যুত্থান করা হয়। গৃহবন্দি করা হয় মুক্তিযুদ্ধের বীরউত্তম সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে। দেশ সরকারহীন হয়ে পড়ে। খন্দকার মোশতাকের কাছ থেকে পদোন্নতি আদায় করে নিজেকে সেনাপ্রধান ঘোষণা করেন খালেদ মোশাররফ।

এরই ধারাবাহিকতায় ৬ নভেম্বর রাতে জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে সৈনিকরা। জাসদ নেতা কর্নেল আবু তাহেরের অনুগত বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা এ সময় জেনারেল জিয়াকে সমর্থন জানিয়ে দলটির অনুসৃত বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কায়েমের চেষ্টা করে। তবে জিয়াউর রহমান সে পথে না গিয়ে সরকার প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন।
এতে চার দিনের শূন্যতার অবসান হয়। ঢাকার রাজপথে সিপাহি এবং জনতা একসঙ্গে নেমে আসে। সেনা ট্যাঙ্কে ফুলের মালা পরিয়ে জনগণ সিপাহি বিপ্লবকে অভিনন্দন জানায়। বেতারে ‘আমি জিয়া বলছি’ ভাষণ শুনতে পায় দেশবাসী। পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় নিজেকে সুসংহত করেন একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যা প্রতিরোধে বিদ্রোহ করে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া মেজর জিয়া। ৭ নভেম্বরের পর তিনি সামরিক শাসক থেকে রাজনীতিকে পরিণত হন।
গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগ আমলের আটটি দিবস বাতিল করলেও, ৭ নভেম্বর সরকারিভাবে পালন হচ্ছে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Like Our Page