সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫০ অপরাহ্ন

কেমন পুরুষকে বিয়ে করলে সুখী হবেন?

পুরুষের কোন দিকটি বেশি আকর্ষণীয়? পুরুষের আকর্ষণীয় দিকের মধ্যে আছে শারীরিক সৌন্দর্য, আর্থিক সচ্ছলতাসহ আরও নানা কিছু। তবে গবেষণা বলছে অন্য কথা।

মনোবিদ গেভিন ভ্যান্সের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের ওকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের এক গবেষণায় জানা গেছে, যেসব পুরুষ উচ্চ আবেগীয় বুদ্ধিমত্তার অধিকারী, তাঁদের দাম্পত্য জীবনে সফল আর সুখী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কেননা তাঁরা সঠিক মানুষটাকেই দাম্পত্যসঙ্গী হিসেবে বেছে নিতে পারেন। অর্থাৎ পুরুষের আবেগীয় বুদ্ধিমতা দেখে আকৃষ্ট হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।বুদ্ধিমত্তা সামাজিক আর পেশাগত জীবনের সফলতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। একইভাবে রোমান্টিক সম্পর্কেও বুদ্ধিমত্তার প্রভাব সবাসরি ও গভীর। ‘পারসোনালিটি অ্যান্ড ইনডিভিজ্যুয়াল ডিফারেন্সেস’ জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী ২০২ জন পুরুষের ওপর জরিপ চালানো হয়। যাচাই করা হয় তাঁদের বুদ্ধিমত্তা। এ যাচাইয়ের ক্ষেত্রে মানসিক দক্ষতা, যৌক্তিক বিশ্লেষণ ও রোমান্টিক বা দাম্পত্য সম্পর্কের জীবনঘনিষ্ঠ সমস্যা সমাধানের দক্ষতা প্রাধান্য পেয়েছে।

বুদ্ধিমান মানেই যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় ভালো ফলাফল, সফল পেশাজীবন বা আর্থিকভাবে সচ্ছল—এমনটা সব সময় না-ও হতে পারে। এখানে বুদ্ধিমান বলতে আবেগীয় বুদ্ধিমত্তার (ইকিউ) ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ নৈতিকতা, যুক্তি খণ্ডন করে সমাধানে পৌঁছানোর দক্ষতা, শক্তিশালী সম্পর্কের ভিত গড়তে আবেগীয় সমর্থন দেওয়ার ক্ষমতা, ইতিবাচক মানসিকতা, যোগাযোগে দক্ষতা, সমানুভূতি ও সহানুভূতিশীলতা ইত্যাদি বিষয়।

এ গবেষণায়, উচ্চ বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন পুরুষেরা জানিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের রোমান্টিক সম্পর্কে সুখী ও সন্তুষ্ট। তাঁরা খুব কমই তাঁদের দাম্পত্যসঙ্গীকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান। সিদ্ধান্ত গ্রহণে সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করেন। বুদ্ধিমান পুরুষেরা খুব কমই সঙ্গীকে নিয়ন্ত্রণ বা পরিবর্তন করতে চান। বরং একসঙ্গে বেড়ে ওঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তাঁরা সহজে ক্ষমা করে এগিয়ে যেতে পারেন আর যেকোনো পরিস্থিতিতে সমস্যা সমাধানের ওপর জোর দেন।

অন্য দিকে যেসব পুরুষের আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা কম, তাঁরা সঙ্গীকে নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভোগেন। সম্পর্কে থেকে তাঁদের মধ্যে নানা ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করে। তাঁদের মধ্যে সঙ্গীকে পরিবর্তন বা নিয়ন্ত্রণ করতে চাওয়ার প্রবণতা বেশি। দেখা যায়, তাঁরা সঙ্গীর যে গুণ দেখে আকৃষ্ট হয়ে বিয়ে করেছেন, ভবিষ্যতে সেটি নিয়েই সংসারে জটিলতা তৈরি হয়। যেসব পুরুষের বুদ্ধিমত্তা কম, তাঁরা প্রায়ই অস্বাস্থ্যকর সম্পর্কের কারণ হয়ে দাঁড়ান। অনেক ক্ষেত্রে তা বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়ায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Like Our Page