সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১১ অপরাহ্ন

ঘূর্ণিঝড়ের সময় যে দোয়া পড়বেন

ঘূর্ণিঝড়, ঝড়ো বাতাসসহ যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্ত থাকতে মহানবী (স.) আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতেন। কেননা মহান আল্লাহই মানুষের সবচেয়ে বড় আশ্রয়দাতা। আল্লাহ ছাড়া মানুষকে বেশি নিরাপত্তা কেউ দিতে পারে না।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা বাতাসকে গালি দিও না। যদি তোমরা একে তোমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেখতে পাও, তবে এই দোয়া করবে—

اَللَّهُمَّ اِنَّا نَسْئَالُكَ مِنْ خَيْرِ هَذِهِ الرِّيْحِ وَ خَيْرِ مَا فَيْهَا وَ خَيْرِمَا أُمِرَتْ بِهِ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ هَذِهِ الرِّيْحِ وَ شَرِّ مَا فَيْهَا وَ شَرِّ مَا أُمِرَتْ بِهِ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা মিন খাইরি হাজিহির রিহি ওয়া খাইরি মা ফিহা ওয়া খাইরি মা উমিরাত বিহি, ওয়া নাউজুবিকা মিন শাররি হাজিহির রিহি ওয়া শাররি মা ফিহা ওয়া শাররি মা উমিরাত বিহি’ (তিরমিজি, মিশকাত)।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমরা তোমার নিকট এ বাতাসের ভালো দিক, এতে যে কল্যাণ রয়েছে তা এবং যে উদ্দেশ্যে তা নির্দেশপ্রাপ্ত হয়ে এসেছে তার উত্তম দিকটি প্রার্থনা করছি। এবং তোমার নিকট এর খারাপ দিক হতে, এতে যে অকল্যাণ রয়েছে তা হতে এবং এটা যে উদ্দেশ্যে আদেশপ্রাপ্ত হয়ে এসেছে তার মন্দ দিক হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার উম্মতের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন, যেন তার উম্মতকে দুর্যোগ ও বিপর্যয় দিয়ে এক সঙ্গে ধ্বংস করে দেয়া না হয়।

এসব বিপদকালীন সময়ে বিশ্বনবী বেশি বেশি তাওবা ও ইসতেগফার করতেন এবং অন্যদেরকেও তা পড়তে নির্দেশ দিতেন। তাই মুসলিম উম্মাহর উচিত ঘূর্ণিঝড়, প্রবল ঝড়ো বাতাস ও বিপদ-আপদে উল্লেখিত দোয়া পড়া এবং বেশি বেশি তাওবা-ইসতেগফার করা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Like Our Page