মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ইসলামাবাদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ১২ ভোট হলে তোমাদের অস্তিত্ব থাকবে না, জামায়াতকে মির্জা ফখরুল মীরসরাইয়ের সোনা পাহাড় এলাকার একটি প্লাস্টিক কারখানায় আগুন: পুড়ে গেছে অর্ধ লক্ষাধিক টাকার মালামাল মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় ৬ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিল্লিতে বিস্ফোরণ: প্রথম টেস্ট ঘিরে কলকাতায় নিরাপত্তা জোরদার সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও সাড়ে তিন মাস বাড়ল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে ৩০তম দিনেও অনশনে শিক্ষকরা ১৩ নভেম্বর ঘিরে কঠোর অবস্থানের জন্য প্যাট্রোলিং বাড়ানো হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘সম্পর্কের টানে তিন প্রজন্মের ভালোবাসার গল্প’ চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে যুবদল নেতাকে হত্যা চেষ্টায় হামলা, মুমুর্ষাবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি

সাকিব ছাড়াও বোলিং নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন যেসব বাংলাদেশি

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় অনাকাঙ্ক্ষিত বোলিং নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের পর চেন্নাইতেও বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় তিনি পাস করতে পারেননি। অ্যাকশনের ত্রুটি শোধরাতে না পারায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই স্পিন-অলরাউন্ডারের বোলিং নিষিদ্ধ হয়েছে। অবশ্য এবারই প্রথম নয়, এর আগেও এমন নজির দেখেছে বাংলাদেশ।
এর আগেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাকিব। ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব প্রকাশ না করায় অ্যান্টি-করাপশন নীতিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ২০১৯ সালে তাকে আইসিসি দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু যে বোলিংই সাকিবের অস্ত্র, তা নিয়ে এবারই প্রথম ঝামেলায় পড়লেন সাবেক এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ফলে তিনি এখন ক্রিকেট খেলতে পারবেন কেবল ব্যাটারের ভূমিকায়।

এর আগে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সর্বপ্রথম প্রশ্নবিদ্ধ বোলিংয়ের অভিযোগ ওঠে সাবেক বাঁ-হাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে। ২০০৮ সালের নভেম্বরে ঢাকায় বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের টেস্ট চলাকালে রাজ্জাকের একটি ডেলিভারি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আম্পায়ার ড্যারিল হারপার ও অসোকা ডি সিলভা। পরীক্ষায় ত্রুটি ধরা পড়ায় নিষিদ্ধ করা হয় রাজ্জাকের বোলিং। পরের বছরের মার্চে অ্যাকশন শোধরানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং শুরু করেন তিনি।
এই তালিকায় পরবর্তী নাম সোহাগ গাজী। ২০১৪ সালের অক্টোবরে ডানহাতি এই বোলারের ডেলিভারির অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়ে। পরে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন সোহাগ। ২০১৪ সালে আরও এক টাইগার বোলার পড়েন একই খড়গে। ডানহাতি পেসার আল-আমিন হোসেনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর অবশ্য ওই বছরের নভেম্বরে প্রথম পরীক্ষাতেই উৎরে যান।

২০১৬ (ভারত) সালের মার্চে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্রশ্নবিদ্ধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষিদ্ধ হন তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানি। একই বছরের সেপ্টেম্বরে তারা ত্রুটি শুধরে চেন্নাইয়ের শ্রী রামাচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পরীক্ষায় বসেন। সেখানে উত্তীর্ণ হওয়ায় আবারও বোলিং শুরু করেন এই দুই টাইগার বোলার।
অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং অ্যাকশন ‘অবৈধ’ বিবেচিত হওয়ায় নিষেধাজ্ঞায় পড়া ক্রিকেটারের সংখ্যা কম নয়। বোলিংয়ে ত্রুটি ধরা পড়ার পর বেশিরভাগ বোলারই আর পুরোনো ছন্দে ফিরতে পারেননি। বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি পাওয়ায় সাময়িক সময়ের জন্য নিষেধাজ্ঞার খড়গে পড়েছেন– পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার শোয়েব আখতার, সাঈদ আজমল, মোহাম্মদ হাফিজ, সুনীল নারিন, জোহান বোথা, কেইন উইলিয়ামসন, শেন শিলিংফোর্ড, সচিত্র সেনানায়েক ও মার্লন স্যামুয়েলসের মতো তারকা ক্রিকেটাররা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Like Our Page