শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
তারেক রহমান ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই দেশে ফিরবেন : ফজলে এলাহী শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা নবীনগরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপির আলোচনা সভা ও বিশাল রেলি অনুষ্ঠিত একসঙ্গে খেললেন বাবা-ছেলে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইতিহাস ‘দুর্নীতি-দুঃশাসন মুক্তিতে কারও সাথে আপস করবে না জামায়াত’ উন্মুক্ত মাঠে সব তাফসির মাহফিল স্থগিত করলেন আজহারি টঙ্গীতে তুলার গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট রক্তে রাঙা রূপসী বাংলা — এ কেমন সোনার দেশ আমাদের : সাংবাদিক রুবিনা শেখ সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে ৩ ডিগ্রি মৃত্যু-পরবর্তী রহস্যময় এক জগৎ

পল্টনে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত, হত্যা নাকি ছিনতাই কারণ খুঁজছে পুলিশ

রাজধানীর পল্টন থানার বিজয়নগর পানির ট্যাংকি এলাকায় ছুরিকাঘাতে সাজু মোল্লা (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তবে হত্যা নাকি ছিনতাইয়ের কবলে পড়েছিল—এমন রহস্য খুঁজছে পুলিশ।
সোমবার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সাজু মোল্লা গোপালগঞ্জ সদর থানার হাটবাড়িয়া গ্রামের মোতালেব মোল্লার ছেলে। বর্তমানে মুগদার মান্ডা কদমআলী ঝিলপাড় এলাকায় থাকতেন।

তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা বন্ধু মো. বায়জিদ বলেন, বিজয়নগর এলাকার একটি বাসার প্রাইভেটকার চালাত সাজু। গতরাতে মুগদার বাসা থেকে নিজের অটোরিকশায় করে সাজুকে নিয়ে আসি বিজয়নগরে। বিজয়নগর পানির ট্যাংকি এলাকার রাস্তায় তাকে নামিয়ে দিয়ে আমি রাস্তার উল্টো পাশে গিয়ে চা পান করি। এর কয়েক মিনিট পরে গলি থেকে চিৎকার শুনতে পাই এবং সাজু আমার নাম ধরে ডাকছে। তখন আমি দৌড়ে রাস্তার উল্টো পাশে গিয়েও সাজুকে আর দেখতে পাইনি। পরে স্থানীয় থানা পুলিশের কল করলে পুলিশের সহযোগিতায় একটি গলি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাজুকে উদ্ধার করি। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাই। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাজুকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, ধারণা করছি গলি দিয়ে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছিলেন সাজু। মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেওয়ায় তাকে কুপিয়ে আহত করে ফেলে যায়।
এদিকে পল্টন মডেল থানা পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নাসিরুল আমিন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে তার বন্ধুর কথায় আমাদের সন্দেহ রয়েছে, এটি হত্যা নাকি ছিনতাইয়ের ঘটনা সেটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। বর্তমানে তার বন্ধু আমাদের হেফাজতে রয়েছে। এত রাতে তাকে মুগদা থেকে বিজয়নগর নিয়ে এলো কেন, কী উদ্দেশ্যে— সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ঘটনাটি আমাদের কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। তদন্ত চলছে, বিস্তারিত পরে জানানো হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Like Our Page