ক্রীড়াঙ্গনে এখনও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা বহাল তরিয়তে রয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল বলেছেন, ক্রীড়া পরিষদ থেকে শুরু করে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং দেশের বিভিন্ন ক্রিকেট-ফুটবল ফেডারেশনগুলোতে এখনও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরা পরিপূর্ণভাবে বহাল তবিয়তে বসে আছে।
শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী উত্তরার ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আয়োজনে ২৬টি থানা নিয়ে জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ এর তুরাগ থানা বনাম বিমানবন্দর থানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তবর্তী সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে আমিনুল হক বলেন, আগে ক্রীড়াঙ্গন থেকে আওয়ামী দোসরদের অপসারণ করে নির্মূল করুন। তারপর আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের বিষয়টি। সেটা বাংলাদেশের জনগণ ঐকমত্যের ভিক্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক বাংলাদেশের জনগণ। কারণ জনগণ হচ্ছে সব ক্ষমতার উৎস।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশের মানুষ চায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হোক। বাংলাদেশে যাতে আর কোনও স্বৈরাচারের জন্ম না হয়। এটা আপনার একার প্রত্যাশা নয়, সারা বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা।
আমিনুল হক বলেন, গত ১৭ বছর ধরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছেই, পাশাপাশি বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে তারা এমনভাবে দলীয়করণ ও রাজনীতিকরণ করেছে যে রাজনৈতিক প্রভাব ছাড়া কোনও খেলোয়াড়রা খেলার সুযোগ পায় না। কী দুঃভাগ্য আমাদের!
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন, তিনি বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে নতুনভাবে ঢেলে সাজিয়েছিলেন। সেখানে কোনও প্রকার দলীয় ও রাজনীতিকরণ করা হয়নি। তার সময়ে বাংলাদেশের মাটিতে এশিয়ান যুব ফুটবল, এমটিসি ক্রিকেট ক্লাব থেকে শুরু করে বাংলাদেশের আইসিসি টেস্ট স্ট্যাটাস বা আইসিসি ওয়ান ডে ক্রিকেট টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রবর্তন হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া যখন রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করেন সেই সময়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সবাই মিলেই, যারা ক্রীড়া সংগঠক তাদের নিয়েই দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে সাজানো হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, টুর্নামেন্ট কমিটি প্রধান সমন্বয়ক আক্তার হোসেন, মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য জাহেদ পারভেজ চৌধুরী প্রমুখ।