মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ইসলামাবাদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ১২ ভোট হলে তোমাদের অস্তিত্ব থাকবে না, জামায়াতকে মির্জা ফখরুল মীরসরাইয়ের সোনা পাহাড় এলাকার একটি প্লাস্টিক কারখানায় আগুন: পুড়ে গেছে অর্ধ লক্ষাধিক টাকার মালামাল মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় ৬ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিল্লিতে বিস্ফোরণ: প্রথম টেস্ট ঘিরে কলকাতায় নিরাপত্তা জোরদার সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও সাড়ে তিন মাস বাড়ল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে ৩০তম দিনেও অনশনে শিক্ষকরা ১৩ নভেম্বর ঘিরে কঠোর অবস্থানের জন্য প্যাট্রোলিং বাড়ানো হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘সম্পর্কের টানে তিন প্রজন্মের ভালোবাসার গল্প’ চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে যুবদল নেতাকে হত্যা চেষ্টায় হামলা, মুমুর্ষাবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি

ট্যুরিস্ট সেজে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা, ৯৬ জন বাংলাদেশি আটক

ট্যুরিস্ট সেজে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করার সময় ৯৬জন বাংলাদেশি নাগরিকসহ বিভিন্ন দেশের ১৩১ জনকে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
গত তিনদিনে মালয়েশিয়ার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা (একেপিএস) ৩০০ জনেরও বেশি বিদেশির কাগজপত্র যাচাই করে। কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ১-এ আসা ৩০০ জনেরও বেশি বিদেশির মধ্যে ১৩১ জনকে দেশটিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

সোমবার (১৪ জুলাই) এক বিবৃতিতে একেপিএস জানিয়েছে, এই ১৩১ জনের মধ্যে ৯৬ জন বাংলাদেশি পুরুষ, ৩০ জন পাকিস্তানি পুরুষ এবং পাঁচজন ইন্দোনেশিয়ান পুরুষ ও মহিলা মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় বৈধ নথিপত্র ও নির্ধারিত শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তারা ট্যুরিস্ট বা ভ্রমণ ভিসায় দেশটিতে প্রবেশ করে কাজে যোগ দেবেন। ভিসার নিদিষ্ট সময় পার হয়ে গেলে তারা অবৈধ হয়ে পড়বে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হবে।
প্রাথমিক তদন্তে দুর্বল ইস্যুগুলোর মধ্যে ছিল– তাদের হাতে হোটেলে থাকার জন্য যথাযথ নথিপত্র ছিল না। তাছাড়া ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যেখানে তাদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল সেখানে না গিয়ে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন। এমনকি দেশটিতে ভ্রমণ করার জন্য ভ্রমণ ভিসার শর্তাবলী অনুযায়ী সর্বনিম্ন যে অর্থ সঙ্গে থাকার কথা সেটিও ছিল না।

কোনো কোনো ব্যক্তি এক মাসের জন্য মালয়েশিয়া ভ্রমণে মাত্র ৫০০ রিঙ্গিত সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন, যার ফলে তাদের আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা বুঝতে পারেন।
প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা বন্ধ হওয়ার পর মানবপাচারকারীরা বিভিন্ন পথ অবলম্বন করে বিদেশগামীদের পাঠাচ্ছেন। এতে কিছু মানুষকে পাঠাতে পারলেও অধিকাংশই সে দেশের বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে আটক হয়ে নিজ দেশে ফিরে আসছেন। কোনো বিষয়ে অভিজ্ঞতা না থাকার পরও ভুয়া ডকুমেন্টস দেখিয়ে প্রফেশনাল ভিসা, স্টুডেন্ট না হয়েও স্টুডেন্ট ভিসা এবং সঙ্গে পর্যাপ্ত অর্থ না নিয়েও ট্যুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টাকালে আটক হচ্ছেন অসংখ্য বাংলাদেশি। এতে করে একদিকে যেমন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে, অন্যদিকে বৈধ ট্যুরিস্টরাও আশঙ্কায় পড়ছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Like Our Page