 
						ক্যারিবীয় অঞ্চলে শক্তিশালী হারিকেন মেলিসার আঘাতে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কেবল হাইতিতেই মারা গেছেন ২৫ জন। হারিকেনের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে কিউবার উপকূলীয় এলাকা। অনেক এলাকা এখনও তলিয়ে আছে পানির নিচে।
জ্যামাইকায় মেলিসার আঘাতের পর এখনও সচল হয়নি বেশিরভাগ জায়গার বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ। তিন দেশে তাণ্ডবের পর হারিকেনটি বাহামা দ্বীপপুঞ্জের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় মোন্থার আঘাতে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুজনে।
কিউবা উপকূলে শক্তিশালী হারিকেন মেলিসার আঘাতের পর উঠে আসছে এর ভয়াবহ তাণ্ডবের চিহ্ন। ঘণ্টায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার গতির ঝড়ে বিপর্যস্ত জনপদ। সাগর কিছুটা শান্ত আর বাতাস কমে যাওয়ায় বাসিন্দারা ফিরছেন নিজ নিজ এলাকায়। গ্রানমা, সান্তিয়াগো দে কিউবা, গুয়ান্তানামো, হোলগুইন ও লাস তুনাস প্রদেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক এলাকা এখনও তলিয়ে আছে পানিতে।
আমেরিকার ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের তথ্য মতে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দক্ষিণ-পশ্চিম জ্যামাইকায় নিউ হোপের কাছে ঘণ্টায় ২৯৫ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় মেলিসা। এরপর কয়েক ঘণ্টা ধরে রীতিমতো তাণ্ডব চালায়।
এখনও দেশটির বেশিরভাগ জায়গায় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। দক্ষিণ উপকূলের অ্যালিগেটর পন্ড এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সাগর তীরের ঘরবাড়ি ও মাছ ধরার নৌকা উড়ে গেছে ঝড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শত শত একর কৃষি জমি।