সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আজ থেকে বাড়তি দামে ভোজ্যতেল বিক্রি টিকিটবিহীন প্রায় ২১০০ যাত্রী, জরিমানা আদায় সাড়ে ৪ লাখের বেশি একটি দল ধর্মের নামে ট্যাবলেট বিক্রি করছে : সালাউদ্দিন ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন নতুন বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, এবার লাখো কণ্ঠে কোরআন পাঠের ঘোষণা হুমায়ুনের নির্বাচনের প্রস্তুতি খুব ভালো: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে অব্যাহতি পেলেন ফজলুর রহমান রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ১ কোটি ১২ লাখ ডলার অনুদান দেবে যুক্তরাজ্য-কাতার মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জের প্রবীণ নেতা অসুস্থ্য: দেখতে গেলেন বিএনপি নেতা জাকারিয়া

বিডিআর বিদ্রোহ : কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন ৩৫ জন

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ৩৫ জন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তাঁরা মুক্তি পান। এ সময় কারা ফটকে তাঁদের আত্মীয়স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

আসামিদের মধ্যে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১ জন, কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ থেকে ২ জন এবং পার্ট-২ থেকে ৩২ জন মুক্তি পেয়েছেন।

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, জামিনের কাগজপত্র গতকাল দুপুরে কারাগারে পৌঁছায়। পরে তা যাচাই-বাছাই শেষে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়।
এ নিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় এখন পর্যন্ত ২৫৩ জন জামিনে মুক্তি পেলেন। এর আগে বিভিন্ন সময়ে ২১৮ জন জামিন পেয়েছিলেন।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ আল মামুন বলেন, সোমবার সকালে বন্দী এক সাবেক বিডিআর সদস্যের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২–এর জেল সুপার মো. আল মামুন বলেন, তাঁর কারাগারে থাকা ৩২ জনের জামিনের কাগজ সকালে পৌঁছালে তা যাচাই–বাছাই করে বিকেল পাঁচটার পর ৩২ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ ছাড়া অন্য দুজনকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। এতে বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। সব মিলিয়ে ৭৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিদ্রোহের ঘটনায় পরদিন ও ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি পৃথক মামলা হয়।
হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ৮৫০ জনকে আসামি করা হয়, যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মামলা হিসেবে বিবেচিত। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। খালাস পান ২৭৮ জন। মামলাটি চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য আপিল বিভাগে শুনানি চলছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Like Our Page