কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া ছয় লাখ ৪৭ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা ও তাদেরকে আশ্রয় দেওয়া স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মানবিক সহায়তা ও পরিবেশ সুরক্ষা জোরদারে যুক্তরাজ্য ও কাতার যৌথভাবে ১১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা ঘোষণা করেছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এই যৌথ সহায়তার মাধ্যমে ক্যাম্পে বসবাসরত ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং শরণার্থী শিবির ও আশপাশের এলাকায় পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সরবরাহ করা হবে।
বিবৃতিতে দুই দেশের বরাত দিয়ে আরও বলা হয়, ‘আমরা একসঙ্গে নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর ও আরও টেকসই সম্প্রদায় গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এলপিজি সরবরাহের ফলে জ্বালানি কাঠের ওপর নির্ভরতা কমবে—বিবৃতিতে এমন আশাবাদ প্রকাশ করা হয়। গত কয়েক বছরে জ্বালানি কাঠের উচ্চ চাহিদার কারণে আশপাশের এলাকায় ব্যাপক বন উজাড়ের ঘটনা ঘটেছে।
২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের আগমনের পর থেকে কক্সবাজার বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল হিসেবে রয়ে গেছে।