 
						এম, এ কাশেম, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সঠিক সময়ে আদৌ কি হচ্ছে-হবে? নাকি…….
এবং বিএনপি’র পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত তাদের প্রতীক সমেতো কোনো নেতা-ব্যাক্তিকে মনোনীত করে নাম ও ঘোষণা করেনি। তথাপি, দলের মধ্যে থাকা কিছু আবাল মার্কা নেতা-কর্মী নামধারীরা তাদের পক্ষপাত : পুষ্ট মনোনয়ন প্রত্যাশি নেতা-ব্যাক্তিদের পক্ষে গো জামিল কথা-বার্তা বলা অব্যাহত রেখে চলেছে! এবং অতি উৎসাহীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে অতিরঞ্জিত পোষ্ট দিয়ে ও যাচ্ছে! এমন কি কেউ কেউ লিখতে/বলতে ও ছাড়ছে না যে, অমুক যদি নমিনেশন পায় তাহলে অমুক দলের অমুকের কাছে বিপুল ভোটে হেরে যাবে। কারণ, হিসেবে তারা উপস্থাপন করে বুঝানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন যে, অমুক তো প্রার্থী হলে এলাকার চেয়ারম্যান ও হবে না! তাহলে এমপি হবে কি ভাবে?
কথা গুলো একেবারে অমুলক ও নয়। এলাকায় জনপ্রিয়তা এবং জনসমর্থন না থাকলে ভোটের বাক্সে তার ভোট আসবে কি ভাবে?
তবে, এ কথা সত্য যে,
নমিনেশন কে পাচ্ছে তা এখনো কেউ বলতে পারবে না। তবে, ওই ব্যাক্তিদের লিখনির কথা অনুয়ায়ী বলতে হচ্ছে-ব্যাক্তিকে নয়, বিএনপি পাগল মানুষ ভোট দিবে ‘ধানের শীষ’ প্রতীককে।
সুতরাং, নমিনেশন যে-ই পাক্ সেটা কোনো ফ্যাক্টর নয় ধানের শীষ প্রতীক-ই যথেষ্ট। আর ওই ধানের শীষ প্রতীক কে কারো কাছে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার দরকার ও নেই বলে মনে করছেন নির্বাচনী অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যাক্তিরা।
সারাদেশে উপরোল্লিখিত বিষয়াবলীর সত্যতা অনেকটা শতোভাগ বলতে গেলে। তবে, প্রতিবেদনের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে- জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম ১ মীরসরাই আসনকে নিয়ে।
সারাদেশের মতো এ আসনটিতে ও এখনো কাউকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। এবং এখনো কারো নাম ও উচ্চারণ করা হয়নি। তথাপি, ওই সব মনোনয়ন প্রত্যাশি নেতা-ব্যাক্তিদের পক্ষপাত:পুষ্ট সাধারণ নেতা-কর্মীরা আগে ভাগে তাদের মনোপূত: নেতা-ব্যাক্তির পক্ষে প্রচার-প্রচারণা শুরু করে মানুষ কে হাসাহাসি তে ফেলে দিয়েছে। আর এই সুযোগটা কাজে লাগানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে বিএনপি’র প্রতিদ্বন্দ্বি রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা! এমন বোকামির কর্ম করে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলকে যদি ওই রকম সুযোগ দেয়া অব্যাহত থাকে তাহলে নির্বাচনী কর্মে বাধা এবং নির্বাচনে ভোটারদের ভোটে নিজেদের বাক্স ভরাতে হিমসীম খেতে হবে বিএনপি’র নেতা-কর্মীদেরকে।