এম, এ কাশেম, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :
জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম ১ মীরসরাই আসনে ‘ধানের শীষ’র জমজমাট প্রচার-প্রচারণা চলমান: রয়েছে। তবে, সব দিক্ দিক্ সতর্কতার সাথে কার্যক্রম পরিচালনা করা অত্যাবশ্যক বলে মনে করছেন দল নিবেদিত প্রাণ একাধিক প্রবীণ নেতা-কর্মী সহ নির্বাচনী কাজে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যাক্তিবর্গরা।
সূত্র জানায়, গ্রাম-গঞ্জের সর্বোত্র-ই এখন ‘ধানের শীষ’ র ব্যাপক জমজমাট প্রচার-প্রচারণা চলমান: রয়েছে। সেই সাথে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর রাষ্ট্র কাঠামোর ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও করা হচ্ছে সর্বোতভাবে।
তবে, আগোছালো ভাবে সেই কার্যক্রম চালানো হলে তাতে লাভের চাইতে অনেক গুন বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচনী প্রচারাভিযানে এবং তারেক রহমান এর ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করতে যারা যাচ্ছে তাদের মধ্যে অনেকেই ৫ আগষ্টের পর থেকে বিতর্কিত (!) বলে একাধিক মাধ্যমে থেকে পাওয়া সংবাদে জানা গেছে।
আর রাত বিরাতে দলবদ্ধ ভাবে কারো বাড়িতে যাওয়া ও ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন দল নিবেদিত প্রাণ একাধিক ব্যাক্তি।
এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অনেকেই বলছেন- দলবদ্ধ ভাবে গেলে তাতে বিরক্ত বোধ করবেন এলাকার নারী-পুরুষ প্রায় সবাই। যদিও বা গ্রামের অধিকাংশ মানুষ এখনো শহীদ জিয়া কে ভালোবাসেন। এবং সেই নিরীখে শহীদ জিয়ার ধানের শীর্ষ প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য ও আকাঙ্খিত। তার পর ও অনেক নারী-পুরুষ রাত-বিরাতে দলবদ্ধ হয়ে বাড়িতে প্রবেশ করাকে কোনো ভাবেই সমর্থন করবে না।
এ ছাড়া যারা যাবে তাদের মধ্যে কেউ যেনো কোনো মেয়ে মহিলাদের দিকে ভিন্ন দৃষ্টি ভঙ্গি না দেখায় তা ও দায়িত্ববান নের্তৃবৃন্দকে তদারকির মাধ্যমে খেয়াল রেখে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার দিক্ নির্দেশনা দেখিয়ে যেতে হবে।
সব মিলিয়ে বিএনপি করা প্রত্যেক টা প্রবীণ এবং দল নিবেদিত ব্যাক্তি কে সাথে রাখা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
মনে রাখতে হবে-‘শহীদ জিয়া ও তার স্মৃতিময় প্রতীক ধানের শীষ’ কে মানুষ এখনো ভালোবাসেন। আর সেই ভালোবাসার প্রতিদান দিয়ে যেতে হবে শহীদ জিয়ার নিজের হাতে গড়া রাজনৈতিক দল বিএনপি’র প্রতিটা নেতা-কর্মীকে। নয় তো নির্বাচনে ওপর এর প্রভাব পড়বে!
এ প্রতিবেদন এর আলোচ্য বিষয় জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম ১ মীরসরাই আসনের জন্য লেখা হলে ও তা সারা বাংলাদেশের জন্য ও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।