শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে যুবদল নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন মীরসরাইয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ বন্ধুর মধ্যে ২জন নিহত, বাকি ১জন ও আশংকাজনক অতিরিক্ত উপপুলিশ মহাপরিদর্শক হলেন চার কর্মকর্তা ভোলায় পুকুরে ডুবে দুই চাচাতো বোনের মৃত্যু তরুণ সমাজে ভয়াবহ সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে মাদক যত বড় নেতা,  তত বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত : মিজানুর রহমান আজহারী জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সুপারিশ একপেশে : মির্জা ফখরুল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের রিজার্ভ ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে আইএমএফ চট্টগ্রামে স্টেডিয়ামে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকে ঘিরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ: আহত ১৫, আটক ৬

দেশের ৬৫% জ্বালানি আমদানিনির্ভর, বিকল্প উৎসে মনোযোগ জরুরি: অধ্যাপক তামিম

ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ম. তামিম বলেছেন, দেশের প্রাথমিক জ্বালানির ৬৫ শতাংশই বর্তমানে আমদানি নির্ভর। তেল, কয়লা ও গ্যাস—সব ক্ষেত্রেই বাড়ছে বিদেশনির্ভরতা। স্থানীয় উৎপাদন কমে যাওয়ায় জ্বালানি সরবরাহে ঘাটতি দিন দিন প্রকট হয়ে উঠছে।

তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি টিকিয়ে রাখতে বিকল্প জ্বালানি উৎসের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। স্বল্পমেয়াদে এলপিজি কার্যকর সমাধান হতে পারে, এবং দীর্ঘমেয়াদে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা হবে টেকসই পথ।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে ‘বাংলাদেশে এলপিজি: অর্থনীতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক পলিসি কনক্লেভে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

ড. তামিম জানান, গত ১০ বছরে দেশে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ প্রতিবছর গড়ে ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট করে কমেছে। বর্তমানে বছরে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে হ্রাস পাচ্ছে। এ অবস্থায় নতুন উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ তেমন কার্যকর হয়নি। এছাড়া গ্যাস আমদানির অবকাঠামোও সীমিত।

তিনি আরও বলেন, দেশে গ্যাস সরবরাহের বড় অংশ আসে বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে, যা প্রায় ‘লাইফের শেষ পর্যায়ে’। বর্তমানে দৈনিক চাহিদা ৪০০০ মিলিয়ন ঘনফুট হলেও সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ২৫০০–২৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। ফলে প্রতিদিন প্রায় ১৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।

অধ্যাপক তামিম মনে করিয়ে দেন, শিল্প, বাণিজ্যিক ও গৃহস্থালি খাতে গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা অনেক বেশি। শুধু শিল্পখাতেই মোট এনার্জি ব্যবহারের ৪৫–৫৬% গ্যাসনির্ভর। এ পরিস্থিতিতে এলপিজি শিল্পখাত, পরিবহন, বাণিজ্যিক ও গৃহস্থালি ব্যবহারে প্রাকৃতিক গ্যাসের বিকল্প হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে প্রায় ২২টি কোম্পানি এলপিজি সরবরাহ করছে। দেশে বছরে প্রায় ১৫–১৬ লাখ টন এলপিজি ব্যবহার হয়, যা সাত বছর আগে এক লাখ টনেরও কম ছিল। বিদ্যমান অবকাঠামো ব্যবহার করে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সমমানের এলপিজি সরবরাহ সম্ভব।

ড. তামিমের মতে, নতুন এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে অন্তত পাঁচ বছর লাগবে। কিন্তু নীতিগত সহায়তা ও দ্রুত বিনিয়োগে এক বছরের মধ্যেই এলপিজি সরবরাহ দ্বিগুণ করা সম্ভব।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান এবং বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Like Our Page