ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক নারীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা-ছেলে — মো. রিয়াজ ও তার বাবা ফরিদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার রাতে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে নিহতের স্বর্ণালঙ্কারও উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
পুলিশ জানায়, গত ২৫ নভেম্বর রাতে ভুক্তভোগী সালমাকে একা পেয়ে রিয়াজ ধর্ষণ করে। এরপর বিষয়টি প্রকাশ পেয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তাকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর মরদেহ ঘরের ভেতর লুকিয়ে রাখা হয়। কয়েকদিন পর দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে পোড়া মরদেহ উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে শনিবার রাতে রিয়াজ ও তার বাবা ফরিদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে নিহত সালমার স্বর্ণালংকারও উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিয়াজ ধর্ষণ ও হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে। সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হয়েছে।