মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আজ থেকে বাড়তি দামে ভোজ্যতেল বিক্রি টিকিটবিহীন প্রায় ২১০০ যাত্রী, জরিমানা আদায় সাড়ে ৪ লাখের বেশি একটি দল ধর্মের নামে ট্যাবলেট বিক্রি করছে : সালাউদ্দিন ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন নতুন বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, এবার লাখো কণ্ঠে কোরআন পাঠের ঘোষণা হুমায়ুনের নির্বাচনের প্রস্তুতি খুব ভালো: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে অব্যাহতি পেলেন ফজলুর রহমান রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ১ কোটি ১২ লাখ ডলার অনুদান দেবে যুক্তরাজ্য-কাতার মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জের প্রবীণ নেতা অসুস্থ্য: দেখতে গেলেন বিএনপি নেতা জাকারিয়া

নারীদের নিয়ে সুরা নিসায় যেসব বিধান রয়েছে

কোরআনে পুরুষদের নামে কোনো সুরা না থাকলেও নারীদের নামে একটি সুরা আছে। তা হলো চতুর্থতম সুরা ‘নিসা’। নিসা অর্থ স্ত্রী জাতি। এ সুরায় ২৪ রুকু ও ১৭৬ আয়াত রয়েছে। তৃতীয় হিজরিতে ওহুদের যুদ্ধের পর এটি অবতীর্ণ হয়।

নারীদের নিয়ে অধিক পরিমাণে বিধান থাকায় এ সুরার নাম নিসা রাখা হয়। এছাড়া এতে তায়াম্মুম, উত্তম চরিত্র, উত্তরাধিকার এবং এতিমের অধিকার সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে।
আরব দেশে বহু বিবাহ সেসময় অনেক সাধারণ বিষয় ছিল। একেকজন পুরুষের স্ত্রী পাঁচ থেকে দশ জন থাকতো। আল্লাহ তাআলা এই সুরায় স্ত্রীর সর্বোচ্চ সংখ্যা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সেই সাথে সামর্থ্য থাকা ও ন্যায় সংগত আচরণ করার শর্তে একাধিক বিয়ের অনুমতি দেয়া হয় এ সুরায়।

দেনমোহর নিয়ে এ সুরায় বিধান রয়েছে। বিয়ে করার জন্য স্ত্রীকে মোহর প্রদান করা ফরজ করা হয়েছে। বিয়ের আগেই মোহর দিতে হবে। তবে স্ত্রীর সম্মতিক্রমে পরেও দেয়া যাবে।

উত্তরাধিকার সম্পদ নারী ও পুরুষ সবাই পাবে। তাই সম্পদ বণ্টনের সময় নারীরা উপস্থিত হলে বিরক্তি প্রকাশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া নারীদের ভরণপোষণ, অর্থাৎ অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান এবং বিয়ের মোহরানাসহ যাবতীয় ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব পুরুষের ওপর অর্পণ করা হয়েছে।

সেসময় নারী ও শিশুদের উত্তরাধিকার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা হতো। তারা যুক্তি দিতো, যারা ঘোড়ায় সওয়ার হতে পারে না, তরবারি বহন করতে পারে না, দুশমনের মোকাবিলা করতে পারে না, তাদের সম্পত্তি দেয়া হবে না। এ জন্য আল্লাহ তাআলা নারীদের ও শিশুদের সম্পদ হরণ করা থেকে নিষেধ করেছেন এ সুরায়।

নারীদের সঙ্গে সদাচরণ এবং পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে তাদের অংশসংক্রান্ত আলোচনার পর ওই সব নারীর আলোচনা করা হয়েছে, আত্মীয়তা, বৈবাহিক বা দুধ সম্পর্কের কারণে যাদের বিয়ে করা হারাম।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Like Our Page